শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৬৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭৭ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৪৫৫ জন।
আজ শনিবার (২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুবরণকারী দুইজনই ঢাকার বাইরের। একজন রংপুরের এবং অন্যজন নারায়ণগঞ্জের। তাঁদের একজন ষাটোর্ধ এবং বাকি একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে করোনায় দেশে এ পর্যন্ত ১৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৪টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৬৮টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৬৬৫ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৫৫ জন। এ পর্যন্ত ৮১ হাজার ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলো থেকে ৬২৪ জন এবং ঢাকা বিভাগ থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৯ জন। আর ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতাল বাদে বিভাগের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭২ জন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগ থেকে দুইজন, খুলনা বিভাগ থেকে ছয়জন, বরিশাল বিভাগ থেকে ২৯ জন, সিলেট বিভাগ থেকে দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৩১ জন এবং রংপুর বিভাগের হাসপাতাল থেকে ২৫ জন।
বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের যেসব হাসপাতাল থেকে করোনা রোগী ছাড়া পেয়েছেন সেগুলো হলো কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ২৯৮ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২১৩ জন, ইনফেকশাস ডিজিস হসপিটাল থেকে আটজন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৩৮ জন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে ১৫ জন, সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে ২২ জন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ২৬ জন এবং মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল থেকে চারজন।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৫ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮২ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা আছেন ৯ হাজার ৬৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, এ পর্যন্ত হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৯ হাজার ৮৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৪৯ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার ৫৯২ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭০ হাজার ২২১টি। এসব কলে যারা কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন তাদেরকে সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৩৯ লাখ পাঁচ হাজার ৬১২ জনকে কভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মোবাইল ফোন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ১৯ হাজার আটজনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত এ দুই মাধ্যমে ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৭২ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বুলেটিনে।